পুঁজিবাজারে বড় দরপতন
প্রকাশিত : ১৮:২৯, ১৫ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ২০:০২, ১৫ জুলাই ২০১৯
অব্যাহত দরপতনে দেশের দুই পুঁজিবাজার। চলতি জুলাই মাসের ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ৯ দিনই সূচকের পতন হয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ সাত কর্মদিবসে টানা দরপতন হয়েছে। সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৫২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বাড়ে ৩৭টির ও কমে ৩০৩টির। আর ১২টি লেনদেন হয় আগের দিনে দরে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দরপতনই শেয়ারবাজারের নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর ধস নামার পর মাঝে কিছুদিন ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও কখনও স্বস্তিতে ছিলেন না বিনিয়োগকারীরা। আওয়ামী লীগ সরকার নতুন মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর অর্থমন্ত্রীর ঘোষণায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। বিশেষত জানুয়ারির পর টানা কয়েক মাসের দরপতনের প্রেক্ষাপটে তিনি বাজেটে প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই ঘোষণায় অনেক বিনিয়োগকারী আশ্বস্ত ছিলেন। কিন্তু বাজেট ঘোষণার পর হতাশ হয়েছেন তারা। ফলে ফের দরপতন শুরু হয়েছে। বাজেট পাসের পর দরপতনের মাত্রা বেড়েছে।
টানা দরপতনের ধারাবাহিকতায় এদিন বেশির ভাগ শেয়ারের দরপতনের প্রভাবে ডিএসইর সবগুলো সূচকেই পতন লক্ষ্য করা গেছে। ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৮৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯১ পয়েন্টে নেমে এসেছে। এছাড়া ডিএসইএস সূচক ২৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৬৬ পয়েন্টে ও ডিএসই৩০ সূচক ৩৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮১৮ পয়েন্টে নেমে এসেছে। এদিন ডিএসইতে প্রায় ৩০৬ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৪৮ কোটি টাকা কম।
ডিএসইর মতো এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেশির ভাগ শেয়ারের দরপতন হয়েছে। এই স্টক এক্সচেঞ্জে এদিন ২৭৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৪৩টির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরপতন হয়েছে ২১৪টির। আর আগের দিনের দরে অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
বেশিরভাগ শেয়ারের দরপতন হওয়ায় সোমবার ডিএসইর মতো সিএসইর সবগুলো সূচকেও ছিল নেতিবাচক ধারা। সিএসই৫০ সূচক আগের দিনে চেয়ে ১৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৪৮ পয়েন্টে, সিএসই৩০ সূচক ১৪১ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৮৮৯ পয়েন্টে, সিএসইএক্স সূচক ১৫৭ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৪৮৭ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ২৬১ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৬১৯ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ১ হাজার ১৮ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
এদিন সিএসইতে প্রায় ১১ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৫৩ লাখ টাকা কম।
আরকে//
আরও পড়ুন